• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

One Nation One Vote

দেশ

এক দেশ এক ভোট

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শোরগোল চলছে। নাগরিকত্ব পাওয়ার আশ্বাস আর আশংকার মাঝে এবার এক দেশ এক ভোট। এই নীতি খতিয়ে দেখার জন্য গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্ডের নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্টের কয়েকজন প্রাক্তন বিচারপতি এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের মত নেওয়ার পাশাপাশি ৬৫ টি বৈঠক করেন।অবশেষে গত বৃহস্পতিবার কোভিন্ড কমিটি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূর কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেয়। এই নীতি প্রয়োগের বছর হিসেবে ২০২৯ সাল কে চিহ্নিত করেছে কমিটি। অর্থাৎ আসন্ন লোকসভা ভোটে সরকার গঠনের পরে যে সমস্ত রাজ্যে বিধানসভার ভোট হবে তাদের মেয়াদ এই কেন্দ্রীয় সরকারের মেয়াদ পর্যন্ত স্থায়ী হবে। সেক্ষেত্রে অনেক রাজ্যে সরকারের মেয়াদই পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যাবে। যদি কেন্দ্রে বা কোনো রাজ্যে মাঝপথে সরকার ভেঙে যায় তাহলে কি হবে? কোভিন্ড কমিটির সুপারিশ হলো, সেক্ষেত্রে নির্বাচন হবে তবে সেই নির্বাচিত সরকার ২০২৯ সালের আগে যে সময়কাল থাকবে সেই সময় পর্যন্তই ক্ষমতায় থাকবে।এর ফলে লোকসভা ও সব রাজ্যের বিধানসভার ভোট করতে কোনো বাধা থাকবে না। রাষ্ট্রপতির কাছে কমিটির যে ২৮১ পাতার রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে সংবিধানের কিছু আইন সংশোধন ও নতুন আইন সংযোজনের সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে ঘন ঘন ভোট হলে যে বিপুল অর্থ ব্যায় হয় তা এড়াতে লোকসভা ও বিধানসভার ভোট একসঙ্গে হওয়া উচিত। পাশাপাশি লোকসভা ও বিধানসভা ভোট হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলির ভোটের সুপারিশ ও করা হয়েছে।এই সার্বিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দুটি সংবিধান সংশোধনী বিল আনার কথা বলা হয়েছে।এই দুটি বিলের মাধ্যমে সংবিধানে ১৫ টি সংশোধনী আনার সুপারিশ করেছে কমিটি। প্রথম বিলটির মাধ্যমে লোকসভা ও বিধানসভার ভোট একসঙ্গে করতে মেয়াদ ফুরোনোর আগেই বিধানসভা গুলি কে ভেঙে দেওয়া যাবে। সংসদে এই বিল পাশ করানোর জন্য রাজ্য গুলির মতামত নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই মত দিয়েছে কমিটি। দ্বিতীয় বিলটির মাধ্যমে লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটের জন্য একটি ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষমতা দেওয়া হবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। তবে দ্বিতীয় বিলটির জন্য দেশের অর্ধেকের বেশি রাজ্যে অনুমোদন প্রয়োজন বলে কমিটি জানিয়েছে।পাশাপাশি প্রথম বিলটি রাজ্য গুলির অনুমোদন ছাড়াই যাতে পাশ করাতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার তার জন্য সংবিধানের নতুন ধারা সংযোজনের সুপারিশ করা হয়েছে। কোভিন্ড কমিটির ওই সুপারিশ অনুযায়ী সংবিধানে নতুন ৮২(ক) ধারা সংযুক্ত হলে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রাজ্য গুলির অনুমোদন ছাড়াই ওই বিল পাশ করানোর ক্ষমতা আসবে। এই লোকসভা ভোটের পরে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তারা যদি কোভিন্ড কমিটির রিপোর্ট গ্ৰহণ করে তাহলে ২০২৯ সালে লোকসভা ও বিধানসভার ভোট একসঙ্গে হবে। সেক্ষেত্রে চলতি বছরে লোকসভা ভোট শেষ হলেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ২০২৯ সালের ভোট প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করতে হবে। যদি তাই হয় তাহলে অনেক রাজ্যের বিধানসভা মেয়াদ ই পূর্ণ সময়ের আগে শেষ হয়ে যাবে।যেমন গতবছর যে দশটি রাজ্যে বিধানসভার ভোট হয়েছে সেই রাজ্য গুলিতে বিধানসভার মেয়াদ ফুরোনোর কথা ২০২৮ সালে। সেক্ষেত্রে ২০২৮ সালেই ওই রাজ্যগুলিতে বিধান সভার ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু ২০২৯ সালে যদি এক দেশ এক নীতি চালু হয় তাহলে ওই রাজ্য গুলিতে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছরের পরিবর্তে এক বছরের মধ্যে ই ফুরিয়ে যাবে। এই রাজ্য গুলি হল হিমাচল প্রদেশ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, মিজোরাম, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগঢ় ও রাজস্থান। অন্য দিকে পাঞ্জাব , উত্তর প্রদেশ ও গুজরাটে ২০২৭ সালে বিধানসভার ভোট হওয়ার কথা। ওই তিন রাজ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠিত হলেও তার মেয়াদ দুবছরের বেশি হবে না।২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, কেরল ও তামিল নাড়ু তে বিধানসভার মেয়াদ ফুরোবে। ওই রাজ্য গুলিতে ভোটে যে সরকার ক্ষমতায় বসবে তার মেয়াদ তিন বছরের বেশি হবে না। দেশের ৪৭টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল কোভিন্ড কমিটি কে নিজেদের মতামত জানিয়েছিল। এই ৪৭টই দলের মধ্যে ৩২টি দল এক দেশ এক ভোট নীতি কে সমর্থন করেছে। বাকি ১৫ টি দল এই নীতির বিরুদ্ধে মত জানায়। যে ৩২টি রাজনৈতিক দল এই নীতিকে সমর্থন করেছে তারা হয় বিজেপির সহযোগী নয়তো বন্ধু ভাবাপন্ন দল। কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম ও DMK সহ যে ১৫ টি রাজনৈতিক দল বিরোধীতা করেছে তাদের বক্তব্য হল এই নীতি চালু হলে দেশের সংবিধানে যে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে তা ক্ষুন্ন হবে।এর ফলে সংসদীয় গণতন্ত্রের দিন ফুরোবে।পাশাপাশি যে কমিটি এই সুপারিশ গুলি করেছে তার এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দল গুলি। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য হল দেশে ঘন ঘন ভোট হলে বিপুল অর্থ ব্যায় হয় । একসঙ্গে ভোট হলে সেই ব্যায়ভার কমানো যাবে। এছাড়াও প্রতি বছরে কোন না কোন ভোট হওয়ার ফলে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়। এর ফলে উন্নয়নের কাজ বাধা পায়। এছাড়াও কেন্দ্রের দাবি এক দেশ এক ভোট নীতি চালু হলে নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার কমবে।

মার্চ ১৬, ২০২৪
দেশ

এক দেশ এক ভোট

১৮-২২ শে সেপ্টেম্বর সংসদে বিশেষ অধিবেশন বসবে। এই ঘোষণার পরের দিন ই এক দেশ এক ভোটের লক্ষ্যে অর্থাৎ লোকসভা, সব রাজ্যের বিধানসভার, পুরসভা ও পঞ্চায়েতের ভোট একসঙ্গে করার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করে কেন্দ্র। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের এই কমিটি সবদিক পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। সংসদের বিশেষ অধিবেশন ও এক দেশ এক ভোটের লক্ষ্যে কমিটি গঠনের মধ্যে কোন যোগসূত্র রয়েছে কিনা তার এখনও পরিষ্কার নয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।এক দেশ এক ভোটের বিষয়টি দেশে নতুন কিছু নয়। ১৯৫২ সালে দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের সময় থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত লোকসভার সঙ্গেই সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হয়। ১৯৬৭ সালের নির্বাচনে প্রথমবার রাজ্যে ও কেন্দ্রে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যায়। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, তামিল নাড়ু, ও কেরলে ক্ষমতা হারায় কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই শক্তি ক্ষয়ের ফলে দেশের রাজনৈতিক শক্তির বিন্যাসেও বড়সড় বদল হতে থাকে। রাজনৈতিক ভারসাম্যের পরিবর্তনের কারণে দেশের ভোট ক্যালেন্ডারেও পরিবর্তন আসে। যেমন ১৯৬৭-১৯৭২ এই পাঁচ বছরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে চার বার বিধানসভা ভোট হয়। ১৯৬৮-১৯৭২ এই চার বছরে পশ্চিমবঙ্গে চারবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। এই সমস্ত কারণে ১৯৬৭ সালে ই দেশে শেষ বার লোকসভা সঙ্গে সব রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয়।আরও পড়ুনঃ কেন সমাজতন্ত্র: অ্যালবার্ট আইনস্টাইনপরবর্তী সময় এক সঙ্গেই সব নির্বাচন করার বিষয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বহুবার আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছে। সারা বছর ধরে বিভিন্ন রাজ্যে কোনো না কোনো নির্বাচন হতে থাকায় অর্থ খরচের বহর বেড়েছে। পাশাপাশি ভোটের জন্য আদর্শ নির্বাচন বিধি বিভিন্ন সময় জারি হওয়ায় উন্নয়ন মূলক কাজের পরিকল্পনাও বাধা পায়। এর ওপর ভোটের বৈতরণী পার হতে বিভিন্ন শাসক দল জনতার মন পেতে একেরপর এক চট জলদি লাভের প্রকল্প ঘোষণা করে থাকেন। এর ফলে দেশে দীর্ঘ মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনাও ব্যাহত হয়।কিন্তু প্রশ্ন হল সংসদীয় আইন মেনে এখন লোকসভার সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট গ্ৰহন কিভাবে সম্ভব? এখন তো বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ একসঙ্গে শেষ হয় না। তাহলে সব রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ এক ই সময় শেষ করার বিষয়ে কী পদক্ষেপ হবে?আরও পড়ুনঃ কর্মক্ষেত্রে বার্ধক্যের আধিক্য উদ্বেগজনকএক দেশ এক ভোট নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে দেশের আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করতে কমিশন প্রস্তুত। মুখের নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন দেশের সংবিধান এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে কোনো নির্বাচিত সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছমাস আগে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা যেতে পারে। এই সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিশন প্রস্তুত।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সব ভোট একসঙ্গে করতে হলে অন্তত তিরিশ লক্ষ ইভিএম এবং voter verified paper audit trail বা VVPAT য়ের প্রয়োজন। এর পাশাপাশি সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচনের জন্য দেশ জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এই অল্প সময়ের মধ্যে ২০২৪ সালে একসঙ্গে সব ভোট গ্রহণ অত্যন্ত কঠিন কাজ। ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার একসঙ্গে ভোট গ্ৰহনের বিষয় নির্বাচন কমিশনকে সুবিধা অসুবিধাগুলি খতিয়ে দেখতে বলে। তখন কমিশন জানিয়েছিল লোকসভা ও সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করতে হলে সংবিধান ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে কিছু সংশোধনী আনতে হবে। এর পাশাপাশি কমিশন জানিয়েছিল একসঙ্গে ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় ইভিএম ও অন্যান্য যন্ত্রাদি কিনতে যথেষ্ট সময় ও অর্থের প্রয়োজন।আরও পড়ুনঃ ইতিহাসের বারান্দায় অনাস্থা প্রস্তাববিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রকাশ গত মার্চ মাসে সংসদে আইন মন্ত্রী জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের হাতে ইভিএমের ১৩.০৬ লক্ষ কন্ট্রোল ইউনিট ও ১৭.৭৭ লক্ষ ব্যালট ইউনিট রয়েছে। আরো ৯.০৯ লক্ষ কন্ট্রোল ইউনিট ও ১৩.২৬ লক্ষ ব্যালট ইউনিট তৈরির কাজ চলছে। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে ২২.১৫ লক্ষ কন্ট্রোল ইউনিট এবং ৩১.০৩ লক্ষ ব্যালট ইউনিট কমিশনের হাতে থাকবে। প্রযুক্তিবিদদের মতে ছয় থেকে সাত লক্ষ ইভিএম তৈরি করতে এক বছর সময় লাগে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হল ২০২৪ সালে এক সঙ্গে ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ইভিএম কি কমিশনের হাতে থাকবে?কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি সারা বছর ধরে বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন স্তরে নির্বাচন হতে থাকার কারণে নির্বাচনী খরচ যেমন বাড়ছে তেমনি মুল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে কেন্দ্রের এই যুক্তি সঠিক। তবে তাঁদের মতে একসঙ্গে ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ইভিএম ও VVPAT কিনতে অন্তত এক হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। এছাড়াও অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য দেশ জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করাও একটা বড়সড় চ্যালেঞ্জ। কারণ ভোট এলে সব রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি ওঠে। এই বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ভোট কর্মীদের দেশের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজটিও অত্যন্ত কঠিন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদ পত্রে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টি এস কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন, একসঙ্গে ভোট হলে আর্থিক ব্যায় প্রশাসনিক কাজের বোঝা যে কমবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে এই কঠিন কাজ সম্পূর্ণ করতে হলে তিন থেকে চার মাস ধরে ভোট গ্ৰহন পর্ব চলতে পারে।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৩

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal